Quantcast
Channel: টিউটো হোস্ট বাংলা ব্লগ »নিলুফার ইয়াসমিন
Viewing all articles
Browse latest Browse all 10

ক্যাসেলিয়ান- একটি অদ্ভুত উভচর প্রাণী।

$
0
0

ক্যাসেলিয়ান কর্ডাটা পর্বের gymnosphiona গোত্রের উভচর প্রানী। দেখতে সাপের মত আবার কেচোর মত,তবে ২ টির একটি ও নয়। সাপ বা কেচোর মতই এদের কোন পা নেই, মাটির নিচে বা পানিতে বাস করে।


John Measey নামক এক জীববিজ্ঞানী ১৯৯৭ সালে ভেনেজুয়লায় ভ্রমণ করে এই অদ্ভুত প্রানীটির সন্ধানে।  Measey এর গবেষক দল রেইনফরেস্ট, গাছের গুড়ি, মাটি খনন অনেক কিছু করেন কোথাও কোন ক্যাসেলিয়ান পাওয়া গেল না! শেষে একটি জেলে পাড়ায় সে এবং তার দল এই প্রানীটির সন্ধান পায়।
এটি ব্যাঙ এবং গিরগিটির শ্রেনীভুক্ত একটি প্রানী। আবার দেখতে কিছুটা বাইন মাছের মতও বটে।
এটিই ক্যাসেলিয়ানকে নিয়ে প্রথম গবেষনা নয়।
বিজ্ঞানীরা ১৭০০ সালে প্রথম ক্যাসেলিয়ানকে নিয়ে গবেষনা করেন। কিছু গবেষনায় বলা হয় এই প্রাণীটি সাপ। কিন্তু এটি সাপের বৈশিষ্ট্যের দিক থেকে ভিন্ন। সাপের শরীরে আঁশ রয়েছে কিন্তু এদের কোন আঁশ নেই। ক্যাসেলিয়ান এর অনেক প্রজাতির লেজ থাকে না কিন্তু সাপের লেজ থাকে।

তবে এরা আবার কেঁচোও না । কেননা এদের মেরুদন্ড এবং মাথার খুলি হয়েছে যা কেঁচোর বৈশিষ্ট্য থেকে আলাদা।


জীববিজ্ঞানীরাও খুব অল্প জানতে পেরেছেন এই সম্পর্কে। মাটির উপরে খুব কমই পাওয়া যায়। এরা মাটির অনেক গভীরে গর্ত করে বাস করে।

তাছাড়া স্থানীয় লোকজন এদের দেখে চিনতে পারেনা সাপ কিংবা কেচো ভেবে ভুল করে থাকে। বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করে ব্যাঙ গিরগিটির মত এটির বিকাশ স্বাভাবিক। এরা ২৭৫ মিলিয়ন বছর এর বেশি পুরনো প্রানী।

সাপের মত এরা ডিম পেড়ে থাকে। ডিমের তা দিয়ে বাচ্চা ফুটায়। বাচ্চা জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের সাথে থাকে। বাচ্চা জন্মের পর মা এর গায়ের চামড়া মৃত হয়ে উঠে তবে এটি অনেক পুষ্টিকর। বাচ্চা ক্যাসেলিয়ান মায়ের গায়ের চামড়া চিলে চিলে খায়। এই কাজে তারা বিশেষ দাঁত ব্যবহার করে। এটি খেয়ে বাচ্চারা শক্তি এবং পুষ্টি অর্জন করে। যা সত্যিই প্রানীকূলের মধ্যে অদ্ভুত!


ক্যাসেলিয়ানদের অনেক প্রজাতি রয়েছে । ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা অন্তত ১৮৫ প্রজাতির ক্যাসেলিয়ান সনাক্ত করেছেন । আরও হইত করবেন। ২০১২ সালে দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা দল ঘোষনা দেন তারা একটি নতুন প্রজাতির ক্যাসেলিয়ান আবিষ্কার করেন যেটি একসাথে অনেক প্রজাতির বৈশিষ্ট্যের সাথে মিল সম্পন্ন।

ভারতে প্রাপ্ত ক্যাসেলিয়ানের ডিমে পরিস্ফুটিত পরিপূর্ণ বাচ্চা

উত্তর পশ্চিম ভারতের অবস্থিত প্রায় সকল ক্যাসেলিয়ান প্রজাতি মাটির নিচে বাস করে ।  ক্যালেসিয়ানদের রঙে বিভিন্নতা দেখা দেয় যেমন- হালকা ধূসর থেকে পার্পল যে কোন রঙের হয়। লম্বায় ১ মিটারের উপরে হয় এবং সর্বোচ্চ ৪ ফুট হয় ।
২০১১ সালে ব্রাজিলের নদীর তীরে ফুস্ফুসবিহীন ক্যাসেলিয়ান দেখতে পাওয়া যায়। এই প্রজাতির  ক্যাসেলিয়ান ত্বকের সাহায্যে শ্বাস-প্রশ্বাস ত্যাগ করে।

ব্রাজিল নদীর তীরে প্রাপ্ত ফুসফুসবিহীন ক্যাসেলিয়ান


Viewing all articles
Browse latest Browse all 10

Trending Articles